জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষকের কল্যাণেই বাকশাল গঠন করেছিলেন জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, নিন্দুকেরা বাকশাল নিয়ে অনেক কথা বলে। আমি বাকশাল সমর্থন করি।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলা-নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন : কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির রূপান্তর’ শীর্ষক এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, প্যানেল আলোচক হিসেবে পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন বক্তব্য রাখেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের প্রধান মো. মফিদুল ইসলাম।
এম এ মান্নান বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের ভিত তৈরি হয়েছে। তার উপরে বহুতল ভবন তুলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফার্মগেটের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের জায়গায় হোটেল নির্মাণের কথা ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কারণেই বিএআরসি ভাঙা সম্ভব হয়নি। তিনি সবসময় কৃষক দরদি ছিলেন। তাদের কল্যাণেই বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করেছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত যাতে এগিয়ে যেতে পারে এ জন্য উদ্যোক্তাদের সহজশর্তে কম সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে পণ্যের বহুমুখী ব্যবহারের ওপরও সরকার জোর দিচ্ছে।
তিনি বলেন, দুধ থেকে আরও ২৮ থেকে ২৯ ধরনের পণ্য তৈরি করা যায়, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। মাছ দিয়ে ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য পণ্য উৎপাদন করা যেতে পারে। বাড়তি শাকসবজি এবং অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য যেমন সামুদ্রিক শৈবাল এগুলো বাইরে রফতানি হচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।